একক প্রার্থীর নির্বাচনে উ. কোরিয়ায় ভোট পড়েছে ৯৯.৯৯ শতাংশ

উত্তর কোরিয়ায় রবিবার (১০মার্চ) অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধারন নির্বাচন। দেশটিতে একক প্রার্থীর জাতীয় নির্বাচনে এবারে ভোট পড়েছে ৯৯.৯৯ শতাংশ। এমনটি জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ। তবে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে এবারের নির্বাচনে সম্ভবত অংশগ্রহণ করেননি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।

কেসিএনএ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে ৯৯.৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে. যা ২০১৪ সালের নির্বাচনে ছিল ৯৯.৯৭ শতাংশ।

এবারে জাতীয় নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভোট না পরার কারণ হিসেবে কেসিএনএ জানায়, কিছু লোক বিদেশে থাকার কারণে ও সমুদ্রে কাজ করার জন্য ১০০ শতাংশ ভোট পড়েনি।

এবারের নির্বাচনে বিজয়ী ৬৮৭ জন প্রতিনিধির নাম প্রকাশ করে কেসিএনএ। তবে সেখানে দেশটির নেতা কিম জং উনের নাম ছিল না। তবে এনিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে কিমের অংশগ্রহণ করা অথবা না করা নিয়ে বিস্ময়ের কিছু নেই। দেশটির সর্বোপরি ক্ষমতা কিমের হাতে।

নির্বাচনে বিজয়ী কিমের বোন ও তার এক সহযোগীর কথা উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।

কিম জং উন ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটিতে এটি দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কিম তার এলাকায় ১০০ শতাংশ ভোট পান বলে খবরে বলা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার এই জাতীয় নির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ছিল একজন।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সংসদ ‘সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি’র (এসপিএ) এই নির্বাচনে প্রতিটি আসনেই প্রার্থী মাত্র ১জন। কোনও আসনেই বিকল্প প্রার্থী ছিল না।

বিবিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সরকারি তালিকার বাইরে দেশটিতে অন্য প্রার্থী বেছে নেয়ার কোন সুযোগ থাকে না। কেননা দেশটিতে বিরোধী দল বলেও কিছু নেই।

এছাড়া দেশটির প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেখানকার ভোটারদের কোন সিল কিংবা ব্যালট পেপার পূরণ করা লাগেনা। ভোটের দিন ভোটারদের শুধু প্রতিটি আসনের জন্য নির্ধারিত প্রার্থীর নাম লেখা ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে ফেলে দিয়ে হয়।

উত্তর কোরীয় বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ ফিয়োদর টার্টিস্কি বলেন, আনুগত্যের প্রমাণ হিসেবে ভোটারদের খুব ভোরে নির্বাচন কেন্দ্রে হাজির হতে হবে। এরপর ভোটার যখন ভোটকেন্দ্রে ঢুকবেন, তখন তার হাতে একটি ব্যালট পেপার দেয়া হবে।

সেখানে ব্যালট পেপারে একটাই নাম থাকবে। সেখানে কোন কিছু লিখতে হবে না। কোন বাক্সে টিক চিহ্ন থাকবে না। ভোটার শুধু ব্যালট পেপারটি নিয়ে একটি বাক্সে ভরে দেবে। ভোটের বাক্সটিও সাধারণত খোলা অবস্থায় রাখা হয়।

এছাড়া ভোটারদের ভোট দেয়া শেষ হলে একসঙ্গে মিলে আনন্দ করতে হবে। এর কারণ হিসেবে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভোটারদের উল্লাস করবে এই কারণে যে, দেশের সুযোগ্য নেতাদের প্রতি সমর্থন জানাতে পেরেছে।

উত্তর কোরিয়ার নিয়ময়ানুযায়ী ১৭ বছরের বেশি বয়সী সবাইকেই বাধ্যতামূলক ভোট প্রদান করতে হয়। যারা ভোট দিতে যায় না, ধরে নেওয়া হয় তারা চীনে পালিয়ে গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment